ধূমপানে বাধা দেওয়ার জের ধরে ঢাকার মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার এবং বাস কোম্পানিটির এক মালিকের বাসায় হামলা ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তের বরাতে জানিয়েছে পুলিশ।বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতের এ হামলার বিষয়ে পুলিশ জেনেছে, সোহাগ পরিবহনের মালিকদের একজন আলী হাসান পলাশ তালুকদারের বাসার সামনে কয়েকজন ধূমপান করছিলেন। এসময় দারোয়ান তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেন।
ডিএমপির সহকারী কমিশনার (রমনা জোন) মাজহারুল ইসলাম বলেন, এসময় দারোয়ানের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। কিছুপরেই গাড়ি নিয়ে মালিক সেখানে আসলে ওইসব ব্যাক্তিদের সাথে তাদেরও বাকবিতন্ডা হলে। এসময় কিছু ধাক্কাধাক্কি হয়।
এ পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, ওই ব্যাক্তিরা সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে আসে। তারা কোম্পানির মালিক ও তার গাড়ি চালক, দারোয়ানের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পাশের কাউন্টারে ভাঙচুর করা হয়। তখন সোহাগ পরিবহনের কর্মচারীরা বাধা দিতে এলে তারাও হামলার শিকার হন।
বাস মালিক আলী হাসান পলাশ তালুকদারের ভাই মাজেদুল হক নাদিম ঘটনার পরপই বলেছিলেন, বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় তার ভাই ছাড়াও গাড়ি চালক, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা আহত হয়েছেন।
হামলাকারীরা তার ভাই পলাশ তালুকদারের বাসার গেইট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল বলে জানান তিনি।
সোহাগ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক তালুকদার সোহেল বলেন, কাউন্টারের সামনে কয়েকজন ছেলে সিগারেট খাচ্ছিল। আমাদের স্টাফ তাকে সেখানে সিগারেট না খেয়ে একটু দূরে গিয়ে খেতে বলেছিল। এ নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু, একপর্যায়ে কাউন্টারের লোকজনের ওপর হামলা করে তারা। মোবাইলে কল করে আরও মানুষজন নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, কাউন্টারের পাশেই আমার বাসা। ঘটনার সময় আমার ছোট ভাই (পলাশ তালুকদার) গাড়ি নিয়ে বাসায় ঢুকছিল। ঘটনা দেখে সে সামনে এগিয়ে গেলে তার ওপরও হামলা করা হয়। তারা বাসায় ভাঙচুর করেছে, আমাদের স্টাফদের কুপিয়েছে। ওই ঘটনা সঙ্গে সঙ্গেই আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে মামলারও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় এক রাজনীতিকের যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সহকারী কমিশনার মাজহারুল বলেন, হামলাকারীদের রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আমার জানা নেই। মামলা এখনো হয়নি। মামলায় কারো নাম-পরিচয় থাকলে তখন বলা যাবে।
খুলনা গেজেট/এএজে